পলাশবাড়ী সরকারী খাদ্য গুদামে ধান ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম
পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সরকারি খাদ্য গুদামে ধান ক্রয়ের ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় বর্তমান সরকার প্রান্তিক কৃষকদের নিকট থেকে সরাসরি ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৫১২ মেঃটন আমন ধান ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ প্রদান করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। কৃষক সরাসরি ধান দিতে না পারায় উপজেলা ক্রয় কমিটি স্ব”ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত কল্পে ৯টি ইউনিয়নের ধান বিক্রয় করার মত কৃষক তালিকা প্রনয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ক্রয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তর ৯ টি ইউনিয়নের কৃষক তালিকা চূড়ান্ত করে। কৃষি সস্প্রসারণ অফিসের তালিকা মোতাবেক ধান ক্রয়ের জন্য ৯টি ইউনিয়নের কৃষকদের লটারীর মাধ্যমে মনোনয়ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ক্রয় কমিটি। গত বছরের নভেম্বর মাসে ক্রয় কমিটি লটারীর মাধ্যমে নির্বাচিত ৩১৫০ জন কৃষকের তালিকা প্র¯‘ত করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নিকট হস্তান্তর করে। নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০১৯ দুই মাসে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ধান ক্রয়ে ব্যার্থ হয়। ধান ক্রয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে বারংবার তাগিদ দিলে অবশেষে টনক নড়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের। ধান ক্রয় ব্যাতি রেখে চাল ক্রয় নয় এমন সিদ্ধান্ত উ”চ পর্যায় থেকে আসলে অনেকটা বে কায়দায় পরে যায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।বাধ্য হয়ে তিনি ধান সিন্ডিকেটের সরনাপন্ন হয়। কৃষকরা সরাসরি ধান দিতে আসলে উপজেলা গুদাম কর্মকর্তা বিভিন্ন তালবাহানা শুর“ করে। নানা অজুহাত দেখিয়ে তাদের ধান ফিরিয়ে দেয়া হয়। আবার ওই কৃষক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আসলে তার ধান ক্রয় করা হয়।